নকলের অভিযোগ কপিল শর্মা শো’র বিরুদ্ধে
কিছুদিন আগেই নিজেদের ১০০তম পর্বের উদযাপন করেছে কপিল শর্মা শো। এই আনন্দের মাঝেই বজ্রপাতের মতো এসেছে চুরির অভিযোগ। আর এই অভিযোগ তুলেছেন কৌতুক অভিনেতা অভিজিৎ গাঙ্গুলি। কপিল শর্মা শোয়ের নিয়মিত অংশ হচ্ছে কিকু শারদার কৌতুক অভিনয়। অভিজিতের অভিযোগ কিকু শারদা হুবহু নকল করেছেন তাঁর স্ক্রিপ্ট।
এনডিটিভির খবরে জানা যায়, গাঙ্গুলি দাবি করেছেন তাঁর তৈরি করা স্ক্রিপ্ট ‘হ্যাভিং অ্যান এলডার ব্রাদার’ তিন বছর আগের লেখা, আর এই স্ক্রিপ্টের ওপর করা কৌতুক অভিনয়ের একটি ভিডিও দুই সপ্তাহ আগে ইউটিউবে আপলোড করেন অভিজিৎ। নিজের দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে অভিজিৎ লেখেন, “না কপিল শর্মা, চুরি করা ঠিক না। আর এভাবে চুরি করা আরো ঠিক না। এইটা ঠিক না যে, আরেকজনের তৈরি করা কৌতুক আপনি একটি জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার করবেন, যেখানে লাখো দর্শক ভাববে যে আপনি এই কৌতুকটা লিখেছেন।”
কৌতুকটি নিয়ে অভিজিৎ আরো লিখেছেন, “আমার স্ক্রিপ্টটির মধ্যে একটি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কৌতুক ছিল যে কীভাবে কপিল দেব, জহির খানের (সেখানে আরো কয়েকজনের নাম উচ্চারিত হয়েছে যেমন হরভজন সিং, শ্রীনাথ, কুম্বলে) মতো সব ভারতীয় সফল বোলারদের কাকতালীয়ভাবে বড় ভাই আছে। আর এই কথার সূত্র ধরে আমি বলেছিলাম, ‘আপনি কি বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা কি অদ্ভুত ভারতীয় বোলিং শক্তি দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি সত্যের ওপর যে বড় ভাই আপনাকে কখনো ব্যাটিং করতে দেবে না। এরপর আমি দেখি কিকু শারদা আমার কৌতুক ব্যবহার করার চেষ্টা করছে (এবং সত্যি বলছি বলতে গিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছে)। কৌতুকটি শুনে সিধু এবং সবাই স্বভাবসুলভ হিস্টিরিয়া রোগীদের মতো হেসেছে, যা দেখে রাগে আমার শরীরের প্রতিটি কোষ জ্বলে উঠেছে।’
অভিজিৎ আরো জানান তিনি তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারেন যে তাঁর কৌতুক কপিল শর্মার শোতে নকল করা হয়েছে এবং পরে তিনি খুঁজে দেখেন এবং জানতে পারেন যে তাঁর বন্ধু সত্যি বলছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনে বিক্ষুব্ধ হয়েছিলাম কিন্তু কোনো উপসংহারে পৌঁছানোর আগে আমি খুঁজে দেখতে চেয়েছিলাম। আমি অনলাইনে খুঁজলাম এবং আমি হতাশ হয়ে পড়লাম যে আসলেই তারা আমার কৌতুক চুরি করেছে।’
ফেসবুক পোস্টটিতে অভিজিৎ উল্লেখ করেন, ‘আমি মনে করেছিলাম দুটি কৌতুকের মধ্যে মিল একটা কাকতালীয় ব্যাপার। তবে সত্যি হচ্ছে আমার কৌতুকটি প্রকাশের দুই সপ্তাহ পরই তারা কৌতুকটা নকল করেছে। আর টিভি পর্দায় কৌতুকটির বিশ্রীভাবে উপস্থাপন প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা আমার কৌতুকটা চুরি করেছে।’
অভিজিৎ গাঙ্গুলি তাঁর ফেসবুক পোস্টটির শেষে লিখেছেন, ‘আমি রাগান্বিত এবং অসয়হায় বোধ করছি। আমি শুধু আশা করছি এ সম্পর্কে চারদিকে এমন আওয়াজ উঠুক যাতে ভবিষ্যতে এ রকম আর কারো সঙ্গে না ঘটে।’
কদিন আগেই সুনীল ও কপিল দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল শোটির। সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার কৌতুক চুরির অভিযোগ এলো কপিলের আলোচিত শোটির বিরুদ্ধে।