শিউলী চরিত্রে এখনো ডুবে আছি : ভাবনা
অভিনয়শিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা দ্বিতীয়বারের মতো একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ফয়সাল রাজিব পরিচালিত চলচ্চিত্রটির নাম ‘নির্জন স্বাক্ষর’। ছবিটি নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ভাবনা।
‘বরষা’ চলচ্চিত্রের পর ‘নির্জন স্বাক্ষর’ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
আশনা হাবিব ভাবনা : খুবই ভালো। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছবিটি মূলত বানানো হয়েছে। ছবির দৈর্ঘ্য ২০ মিনিট হলেও গল্পের গভীরতা অনেক। মাসুম শাহরিয়ার ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। এখানে আমার সহশিল্পী মীর রাব্বী। ছবিতে রাব্বীর স্ত্রীর চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। শুটিং আমরা ঢাকার অদূরে ধামরাইতে করেছি। ছবিটি আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় দীপ্ত টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।
ছবির গল্প ও চরিত্র সম্পর্কে কী কিছু বলা যাবে?
আশনা হাবিব ভাবনা : হ্যাঁ, অবশ্যই। একটা নিরুপায় মেয়ের গল্প এখানে আছে। আমার চরিত্রের নাম ‘শিউলী’। আমি আমার বন্ধুবান্ধবদের বলছি, ‘আমি এখন শিউলী’। মানে হলো শুটিং শেষ হলেও আমি শিউলী চরিত্রে এখনো ডুবে আছি। চরিত্রটা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। ছবিতে আমার সঙ্গে মীর রাব্বীর বিয়ে হয়। বিয়ের পরেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। রাব্বী আমাকে রেখে যুদ্ধে যায়। বাড়ির সবাই ধরে নেয়, যুদ্ধে রাব্বী শহীদ হয়েছে। কিন্তু আসলে শেষ পর্যন্ত কী হয়, এটা দেখার জন্য ছবিটি দেখতে হবে। অনেক মর্মান্তিক একটা গল্প এখানে পাওয়া যাবে।
শুনেছি ছবির নাম নাকি আগে ‘শিউলী ফুল’ ছিল...
আশনা হাবিব ভাবনা : ঠিক শুনেছেন। পরে নাম বদলানো হয়েছে। ‘নির্জন স্বাক্ষর’ নামটাও দারুণ।
আপনি তো বেছে বেছে নাটকে অভিনয় করেন। আসছে ঈদের নাটকে আপনাকে কি দেখা যাবে?
আশনা হাবিব ভাবনা : এবার ঈদে তুলনামূলকভাবে বেশি কাজ করার পরিকল্পনা করেছি। নাটক নিয়ে পরিচালকদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সবকিছু ঠিক হলে জানাব। তবে নাটকের চিত্রনাট্যে অবশ্যই সংলাপ, গল্প ও আমার চরিত্র দেখেই রাজি হব। আমার কাছে নাটকের চরিত্র অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর একটা নাটকের চরিত্র থেকে আর একটা চরিত্রে প্রবেশ করতে আমার সময় লাগে। এর পেছনে কারণ হলো, পর্দায় চরিত্রটি আমি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই, যাতে দর্শক কিছুক্ষণের জন্য হলেও আমি ভাবনা, সেটা ভুলে গিয়ে আমার চরিত্রটাকে অনুভব করতে পারেন।