দেশের বাইরে শুটিং করে আনন্দ পাই : হীরা
র্যাম্প মডেল রোখসানা আলী হীরা এখন অভিনয় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি একসঙ্গে তিনটি নাটকের শুটিং ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুটিং করে দেশে ফিরেছেন তিনি। নাটকে অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
তিনটি নাটকের শুটিং একসঙ্গে করেছেন। কোনো চাপ অনুভব করেছেন কী?
হীরা : একদম না। নাটকটি তিনটি লিখেছেন সঞ্জয় কান্ত ও পরিচালনা করেছেন খান মোহাম্মদ বদরুদ্দিন। তিনটি নাটকে আমার সহ-শিল্পী ছিলেন তৌসিফ মাহবুব। নাটকগুলোর নাম হলো ‘হামিং বার্ড’, ‘সামথিং ইজ রং’ ও ‘যাযাবর সাথিরা’। নাটকগুলোর গল্প রোমান্টিক। আমি প্রথমবারের মতো বালিতে গিয়েছি। খুব সুন্দর জায়গা বালি। শুটিং আমরা খুব ভালোভাবে করেছি।
তৌসিফের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
হীরা : খুব ভালো। অভিনয় করতে তৌসিফ অনেক সাহায্য করেছেন। তৌসিফের মনও অনেক ভালো। শুটিংয়ের ফাঁকে ইউনিটের সবাই বালিতে আমরা ঘুরেছি। অনেক মজাও করেছি।
দেশের বাইরে শুটিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা কী?
হীরা : যদিও কিছু অসুবিধা আছে তবুও দেশের বাইরে শুটিং করে আনন্দ পাই। অসুবিধা হলো, নাটকের শুটিং খুব দ্রুত শেষ করতে হয়। কারণ একটা নির্দিষ্ট সময় নিয়ে আমরা দেশের বাইরে শুটিংয়ে যাই। আর দেশের বাইরে শুটিং হলে অনেক সুন্দর লোকেশন দেখাও যায়। তখন অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হয়। নতুন নতুন জায়গায় শুটিং ব্যাপারটাও আমি খুব উপভোগ করি। এটা অবশ্যই ভালো।
অনেক নাটকে চলচ্চিত্রের নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাস্তবে আপনাকে চলচ্চিত্রে কবে দেখতে পাবেন দর্শক?
হীরা : আমি এখনো জানি না। অনেক দ্বিধায় আছি। নাটকে কাজ করতে স্বাচ্ছান্দ্যবোধ করি। তবে ভালো গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালক পেলে ভেবে দেখব। আপতত টিভি নাটক ও মডেলিং করতে চাই।
‘তুই ছাড়া’ নামের একটি গানের মডেলও আপনি হয়েছেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
হীরা : প্রথমবারের মতো মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছি। আমার বিপরীতে মডেল হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। প্রত্যাশার থেকেও বেশি সাড়া পেয়েছি। এখন মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়ার প্রস্তাবও অনেক পাচ্ছি। গান পছন্দ হলে আরো মিউজিক ভিডিও করতে পারি।