এবার যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয়ের কথা চলছে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। যদি তিনি যৌথ প্রযোজনার এই ছবিতে অভিনয় করেন, তবে দীর্ঘদিন পরে একই ছবিতে দেখা যাবে ডিপজল ও শাকিব খানকে।

এ প্রসঙ্গে ডিপজল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুই-তিন বছর ধরেই যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করার জন্য অফার আসছিল। এবার ছবি শুরু করার পর কলকাতার বেশ কয়েকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমাকে নিয়ে কাজ করতে চাইছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে আগামী মাসের ৫ তারিখ ডেট দিয়েছি। তারা ৩ তারিখ বাংলাদেশে আসবে, ৫ তারিখ তাদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলব। তারপর যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করব।’

কলকাতার কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন—জানতে চাইলে ডিপজল বলেন, ‘কলকাতার শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেই ছবিতে শাকিব খান অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আগামী রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে ছবিটি নির্মাণ করার কথা। গল্পটা আমি শুনেছি, সেখানে আমার পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তীর পেরালাল চরিত্র রাখা হয়েছে। কিন্তু আমার কিছু বিষয়ে কথা আছে, আমি সবকিছু না বুঝে কাজ করব না। সে কারণে আমি তাদের এখানে ডেকেছি।’

শাকিব খানের সঙ্গে এর আগে ডিপজল ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘দাদি মা’, ‘চাচ্চু’সহ অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। তবে এবারই প্রথম তাঁরা যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করবেন, যদি সবকিছু ঠিকমতো এগোয় এমনটাই জানান ডিপজল। তবে এটা জানাতেও তিনি ভোলেন না, যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণা চলছে। বাংলাদেশ ও ভারতের লোকবল সমান অনুপাতে কাজ করেন না যৌথ প্রযোজনার ছবিতে। এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ‘আমি তো শুধু অভিনেতা নই, আমি ছবির প্রযোজকও। দীর্ঘদিন ধরে আমি চলচ্চিত্রের ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। এখনো আমার বেশ কয়েকটা সিনেমা হল আছে। আরো সিনেমা হল আমি বানাচ্ছি, আমার এই চলচ্চিত্রের ব্যবসা পুরোটাই বাংলাদেশে। তা ছাড়া সবাই জানে আমি শুধু টাকার জন্য চলচ্চিত্রে কাজ করি না। এ কারণে যে কাজ করলে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আসবে না, সে রকম কাজ আমি করব না।’

শর্ত পূরণ হলেই যৌথ প্রযোজনার ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হবেন বলে জানান ডিপজল। তবে দুই দেশের এই প্রযোজনাও খুব একটা দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি, ‘যৌথ প্রযোজনা আমাদের আসলে দরকার নেই। কারণ, বাংলা ছবির দর্শক যদি বিশ্বব্যাপী ৩০ কোটি থাকে, তার মধ্যে বাংলাদেশে ৮০ ভাগ। তবে যেহেতু আমরা টেকনিক্যালি একটু দুর্বল, সে কারণে আমাদের টেকনিশিয়ানদের নিয়ে কাজ করলে তাঁদের টেকনোলজি জ্ঞানটা আরেকটু সমৃদ্ধ হবে। তাই বলে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না, নিজেদের দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি যাই করি না কেন, আমাদের ছবির ক্ষতি করে কিছু করব না।’