আমাকে কেউ বিয়ে করবে না : জয়ী
শারমীন জয়ী এ প্রজন্মের অভিনেত্রী। ফিরোজ কবির ডলার পরিচালিত ‘অপরাজিতা’ ধারাবাহিকে খলনায়িকা চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ সাড়া পেয়েছেন তিনি। কথাবন্ধু হিসেবেও রয়েছে তাঁর পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাটকে অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন জয়ী।
এনটিভি অনলাইন : খলনায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগছে?
জয়ী : অনেক মজা পাচ্ছি। বাস্তবে তো আমি মোটেও এ রকম নই। পর্দায় আমার নেতিবাচক চরিত্র দেখে অনেকে প্রশংসা করছেন। এর মানে আমি চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে অভিনয় করতে পারছি। নেতিবাচক চরিত্রে কাজ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং।
এনটিভি অনলাইন : দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
জয়ী : বাইরের দর্শকের কাছ থেকে নিয়মিত অনেক মন্তব্য পাই। আমার পরিবারের সবাই অনেক মন্তব্য করে। আমাদের বাড়ি বগুড়ায়। সেখানে থাকা এক খালা ছোটবেলায় আমার দেখাশোনা করতেন। এখনো তাঁকে আমরা সম্মান করি। তিনি ‘অপরাজিতা’ নাটকটি নিয়মিত দেখেন। একদিন তিনি আমার মাকে বলেছিলেন, ‘জয়ী আগেই ভালো ছিল। এখন অনেক খারাপ হয়েছে। টিভিতে তো ওকে দেখি। জয়ী অনেক কটূক্তি করে।’ এই কথা শুনে আমি আর মা হাসি থামাতে পারিনি। পরে মাকে আমি বলেছিলাম, ‘মা, আমি যে চরিত্রে অভিনয় করছি, আমাকে কেউ বিয়ে করবে না।’
এনটিভি অনলাইন : আপনি তো দীর্ঘ আট বছর ধরে কথাবন্ধু হিসেবে বিভিন্ন বেসরকারি রেডিওতে কাজ করেছেন। এখন কাজ না করার কারণ কী?
জয়ী : ব্যক্তিগত কাজের চাপ ও অভিনয়ের কারণে একটু বিরতি নিয়েছি। তবে শিগগির কথাবন্ধু হিসেবে আমার শ্রোতারা আমাকে পাবেন। রেডিওতে কথা বলার মাঝে বিশাল আনন্দ আছে। শ্রোতারা আমাকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়েছেন। এক জীবনে আমি এটা কখনো ভুলব না।
এনটিভি অনলাইন : অভিনয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
জয়ী : কিছুদিন আগে ‘শেষের কবিতা’ নাটকের কেতকি চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ আমাদের দেশে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে শিল্পীরা আলোচনায় আসেন তাঁদের কাছে সে ধরনের চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব আসতে থাকে। আমি সেই পথে হাঁটতে চাই না। আমি চাই দর্শক আমাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে বারবার পর্দায় দেখুক। সব ধরনের চরিত্রে কাজ করার সাহস আমার আছে। এখন দেখা যাক, কী হয়!