‘অভিনেতা অপূর্বকে অনেক মিস করি’
জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘এসেছিলে’ নাটকটি এনটিভিতে রাত ৯টায় প্রচারিত হবে আগামীকাল শুক্রবার। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, মম, নাজিরা আহেমদ মৌ ও কল্যাণ। নাটকটি পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।
এনটিভি অনলাইন : ‘এসেছিলে’ নাটকটি দর্শক কেন দেখবেন বলে আপনি মনে করেন?
চয়নিকা চৌধুরী : একটা গল্পের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা পরিচালকরা নাটক নির্মাণ করি। আমি বলব, নাটকের গল্প বলা সহজ, কিন্তু এর চিত্রনাট্য ও নির্মাণকাজ অনেক কঠিন। ‘এসেছিলে’ রোমান্টিক গল্পের একটি নাটক। চিত্রনাট্যও চমৎকার। আমি মনে করি, দর্শক নাটকটির প্রথম দৃশ্য যদি দেখে, তাহলে শেষ দৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত টেলিভিশনের সামনেই থাকবেন। নাটকের গল্প যেমন ভালো, তেমনি শিল্পীরাও দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া নাটকের লোকেশনেও রয়েছে বৈচিত্র্য।
এনটিভি অনলাইন : আগামীকাল আপনার ছেলে অনন্য প্রতীক চৌধুরীর জন্মদিন। কালকের দিনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কী?
চয়নিকা চৌধুরী : ছেলের জন্মদিনে আমার নাটক প্রচারিত হচ্ছে। বেশ উচ্ছ্বসিত আমি। সবাই মিলে নাটকটি দেখব। এ ছাড়া সবাই বাসায় আনন্দ করব। আমার কাছে জীবিকার থেকেও জীবনটা অনেক বড়। নিজের পরিবার ও সমাজের কিছু প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে আমি প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পাই। আমি একজনকে বড় করতে গিয়ে আমার অন্য একজন প্রিয় মানুষকে ছোট করতে চাই না। এই নীতিতে আমি সব সময় এক থাকব।
এনটিভি অনলাইন : নতুন বছরে আপনার কাজের পরিকল্পনা কী?
চয়নিকা চৌধুরী : এ বছর ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে। গত বছর ইমদাদুল হক মিলনের লেখা একটা গল্প নিয়ে ‘শ্রাবণ সন্ধ্যা’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং আমরা শুরু করেছিলাম। বাণীচিত্র প্রযোজিত নাটকটির কাজ এখনো কিছু বাকি রয়েছে। নাটকটির শুটিং শেষ করতে চাই। এ বছর আমি নাটকের চিত্রনাট্যের মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই। ভালো চিত্রনাট্য ছাড়া আমি নাটক নির্মাণ করব না। বছরের বিশেষ দিবসের জন্য প্রত্যেকবার যেমন আমি নাটক বানাই, এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। প্রতিবছরের প্রথম মাসে দুই ও তিন তারিখে আমি শুটিং করি। এবারও করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার নাটকের অভিনেত্রী নাদিয়া মিমের শ্বশুর মারা যাওয়ার কারণে এবার শুটিং করতে পারিনি।
এনটিভি অনলাইন : ২০১৬ সালে আপনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি। এর কারণ কী?
চয়নিকা চৌধুরী : চলচ্চিত্র আমি নির্মাণ করতে চিয়েছিলাম; কিন্তু আমার কাছের কিছু মানুষ আমাকে আরো সময় নেওয়ার কথা বলেছেন। তাই একটু অপেক্ষা করছি।
এটুকু বলতে পারি, চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে আমি ছয় মাস কোনো নাটক নির্মাণ করব না। চলচ্চিত্রের কাজের প্রস্তুতি নেব।
এনটিভি অনলাইন : আপনার নাটকে অভিনেতা অপূর্বকে এখন আর দেখা যায় না, এর কারণ কী?
চয়নিকা চৌধুরী : আমার ১৫১টি নাটকে অপূর্ব অভিনয় করেছেন। আমি অভিনেতা অপূর্বকে অনেক মিস করি। অভিনেতা অপূর্বর অনেক ভক্তও আমি। কিন্তু এখন অপূর্বর শিডিউল আমি পাই না। তাই কাজ করা হচ্ছে না। নতুন অনেক শিল্পীকে নিয়ে আমি কাজ করছি। এর মধ্যে জোভান, সিয়াম, শবনম ফারিয়া ও মেহজাবীনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমার অনেক ভালো। তাঁদের অভিনয়ও আমাকে মুগ্ধ করে।
এনটিভি অনলাইন : দর্শক নাটক কি এখন দেখছেন?
চয়নিকা চৌধুরী : অবশ্যই দেখছেন। টেলিভিশনে বেশি বিজ্ঞাপনের কারণ হয়তো তুলনামূলকভাবে দর্শক কম নাটক দেখছেন। কিন্তু একই নাটক ইউটিউবে দর্শক দেখছেন। এতেই প্রমাণিত হয়, বাংলা নাটকের প্রতি দর্শকের আকর্ষণ আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরাও আমাদের নাটক অনেক পছন্দ করেন।