জাবির ৪ ছাত্রলীগকর্মী বহিষ্কার
ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ঘোষণার মুখে অবশেষে চার কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
কর্মরত সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়া এবং সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এ ব্যাপারে সাতদিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দেওয়া শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন শাহরুখ শাহরিয়ার সৌমিক (৪২ ব্যাচ, লোকপ্রশাসন), হাবিবুল্লাহ হাবিব (৪২ ব্যাচ, লোকপ্রশাসন), নাজমুল বরুণ (৪২ ব্যাচ, অর্থনীতি), সৈকত মুহাম্মদ আবদুল্লাহ (৪৩ ব্যাচ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং)। এঁরা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আসিফের অনুসারী।
জানা যায়, গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা এক ছাত্রদল নেতাকে মারধরের ঘটনার ছবি তুলতে গেলে মানবজমিনের জাবি প্রতিনিধি ও এনটিভি অনলাইনের সংবাদদাতা হাসান আল মাহমুদকে বাধা দেন ছাত্রলীগকর্মী সৌমিক।
সৌমিক ও তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগকর্মীরা হাসান আল মাহমুদকে ধমক দিয়ে ছবি ডিলেট করে দিতে নির্দেশ দেন। ছবি ডিলেট করতে অসম্মত হওয়ায় তাঁরা হাসান আল মাহমুদকে শাসান এবং হাতে থাকা রড নিয়ে তেড়ে আসেন। এ সময় সৌমিক বলেন, ‘ক্যাম্পাসের মালিক আমরা, আমাদের যা ইচ্ছে হয় তাই করব।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে বহিষ্কৃত এ চারজনসহ আরো চার-পাঁচজন ছাত্রলীগকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসাইন রাহাত (দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ) এবং সহসভাপতি সানাউল্লাহ মাহীর (দৈনিক সংবাদ) সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং মারতে উদ্যত হন।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে শাখা ছাত্রলীগের সব কর্মসূচি ও ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। পরে বিকেলে ছাত্রলীগ শাখা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়।
বহিষ্কারের ঘোষণায় কর্মরত সাংবাদিকরা ছাত্রলীগের সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।