কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কোটা পদ্ধতি সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন ও মৌন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে দুপুর ১২টার দিকে একটি মৌন মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। মানববন্ধনে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন সায়েম বলেন, ‘১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ ভাগ ও নারীদের জন্য ১০ ভাগ কোটা ব্যবস্থা চালু করেন। বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ মানুষের দাবি, কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়েও এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। কোটা পদ্ধতি সংস্কার না করলে জাতির বৃহৎ একটি অংশ অবহেলিত হবে। অবমূল্যায়ন করা হবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতাকে।’ এ সময় তিনি অবিলম্বে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ মুন্নাফ বলেন, ‘কোটা সংস্কার না হওয়ায় রাষ্ট্র সুযোগ্য জনবল থেকে বঞ্চিত ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে।
৫৬ ভাগ কোটা সব শিক্ষিত বেকার যুবকের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রতীক। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রতি বছরেই কোটা সংস্কার করে। ভারত এত বড় রাষ্ট্র হওয়ার পরও সেখানে ১০ ভাগ কোটা ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ কোটা ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়ায় মেধাবীরা আজকে মূল্যায়িত হচ্ছে না।’ এ সময় তিনি কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দেওয়া, চাকরির পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার বাতিল, কোটায় বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুচিতা রায়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম মোরশেদ, ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থী মমিনুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোমিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ইন্দ্রজিত কুমার, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খাদিজা ইসলাম প্রমুখ।