আবাসিক হলে শত সমস্যা, উপাচার্য শুনলেন শিক্ষার্থীদের কথা
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জাহাঙ্গীরনগর একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি, আবাসিক হলগুলোতে তৃতীয়-চতুর্থ বর্ষেও বরাদ্দ করা সিট পান না তাঁরা।
এ ছাড়া হলগুলোতে নেই হল প্রশাসনের তদারকি, পর্যাপ্ত আসবাবপত্র, সাংস্কৃতিক আয়োজন-খেলাধুলার সরঞ্জাম, খেলারমাঠ, স্বাস্থ্যকর খাবার, রিডিংরুম, লাইব্রেরি, নামাজরুম। রয়েছে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য, র্যাগিং, হলের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়াসহ আরো নানা সমস্যা।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের কাছে শুনলেন এসব সমস্যা-সংকটের কথা। সভায় দুই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, কর্মরত সাংবাদিক, রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় সভাটি চলে।
আবাসিক হলের ব্যাপারে সভাটির আয়োজন করা হলেও শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট, দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বেহাল সড়ক, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়েও অভিযোগ উঠে আসে।
এ সময় উপাচার্য ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য জানান, ছেলেদের দুটি ও মেয়েদের দুটি করে এক হাজার আসন বিশিষ্ট চারটি আবাসিক হল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আবাসন সংকট ৮০ শতাংশ কমে যাবে। হলে হলে রিডিংরুম ও খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা হবে। সেশনজট কমানোর জন্য প্রশাসন কাজ করছে। যেসব শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নেন না তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া উপাচার্য র্যাগিং বন্ধ করা ও শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরপরই নিয়মমতো হল ছেড়ে দিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান।