ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীকে মারধর করার প্রতিবাদে রাজধানীর বঙ্গবাজারের একটি মোড় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখে তারা। এ সময় বঙ্গবাজার থেকে চাঁনখারপুল এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাজিরা বাজারের যুবকদের সঙ্গে অমর একুশে হলের ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার সূত্রপাত ধরে হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অমর একুশে হলের এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রাজিউন মাহমুদ ও হলের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র তরিকুল ইসলাম বাইকে করে নাজিরা বাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে একটা ভ্যানের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। পরে ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা তাদের আটক করে রাখে এবং তাদের মারধর করে। এ খবর পেয়ে অমর একুশে হল থেকে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে যায়। পরে তাদের থানায় নিয়ে মধ্যস্থতা করা হয়। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা কয়েকটি মোটরসাইকেলে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। রাস্থা অবরোধ থাকায় একটা অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারেনি। পরে ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার রাজ বলেন, ‘গতকাল রাতের ঘটনায় আমাদের আটজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরে প্রশাসন এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে।’

ঘটনার বিষয়ে অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনারুল ইসলামকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি ঘটনার বিষয়ে জানি না। আমি এক্ষুণি খোঁজ নিচ্ছি।’

যোগাযোগ করা হলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসের প্রিন্স বলেন, গতকাল রাতে ছাত্রলীগের উপ স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রাজিউন মাহমুদ ও অমর একুশে হলের মাস্টার্সের ছাত্র তরিকুল ইসলাম বাইকে করে খেতে যাচ্ছিল। চলন্ত বাইকে এক ভ্যানের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। তাই তাদের ধরে স্থানীয়রা তাদের অনেক প্রহার করেছে।

অবরোধের বিষয় জানতে চাইলে মোতাহার হোসেন বলেন, ‘অবরোধের বিষয়ে কিছুই জানি না।’