ফাঁস হওয়া প্রশ্নে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর প্রায় আট ঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্রের একটি অংশ ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত ৩টা ১৯ মিনিটে এনটিভি অনলাইনের কাছে মেইলে একটি প্রশ্নপত্র আসে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ওই প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে। এনটিভি অনলাইনের কাছে গতকাল রাতে আসা মেইলটি রয়েছে। সেখানে ২৪টি প্রশ্নের সঙ্গে আজকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ইংরেজি অংশের ২৪টি প্রশ্নের মিল রয়েছে। ইংরেজি অংশে মোট ২৫টি প্রশ্ন রয়েছে।
তবে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এ ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়েছে ৬১ জন ভর্তিচ্ছু। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কারণে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এক হাজার ১৪৭টি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য ৪১০টি ও মানবিক শাখার জন্য ৫৩টি আসন রয়েছে।
গতকাল আসা প্রশ্নের সঙ্গে আজকের যেসব প্রশ্নে মিল পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইংরেজি প্রথম প্রশ্ন ছিল- “হোয়াট ইজ দ্য মিনিং অব দ্য ইডিওম ‘টু ফলো ইয়র নোজ’?”, তৃতীয় প্রশ্ন ছিল- ‘দ্য হাইওয়ে এজেন্স. . . বেড ওয়েদার...’, অষ্টম প্রশ্ন ছিল- ‘জার্মানি হ্যাজ ওন দ্য ফুটবল ম্যাচ...’. দ্বাদশ প্রশ্ন- ছিল ‘দিস ইজ দ্য স্কল হুইচ...’ ও বিংশতম প্রশ্ন ছিল- ‘অ্যা পিস অব কেক মিনস’।
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া অসম্ভব। যদি আমরা ফাঁসের বিষয় জানতে পারি, তবে খোঁজ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করব।’
ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জালিয়াতির চেষ্টা করেছেন। তাঁদের আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি না, তা বলতে পারব না। এমন কোনো অভিযোগ বা তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মেইলে পাওয়া প্রশ্নপত্র। ছবি : এনটিভি