অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার সনদ আটকানোর সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করা সেই ছাত্রলীগ নেতার সনদপত্র আটকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম তালহা জুবায়ের। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ওই পরীক্ষাগুলোর সনদই আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তালহা জুবায়েরের বিরুদ্ধে ওমর ফারুখ নামে এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ ওঠে। আহত ওমর ফারুখ সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ছাত্র। তিনি ওই হলের একটি খাবারের মেস ‘ঐতিহ্যে’র ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী হলের মেসে থেকে খাবার নিতে আসে। ওই শিক্ষার্থী একজনের খাবারের টাকা দিয়ে তিনজনের খাবার নিয়ে যায়। এতে ব্যবস্থাপক ওমর ফারুখ বাধা দেন। ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা তালহা জুবায়েরের পরিচিত। বিষয়টি জেনে তালহা এসে ফারুখকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে তালহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ওমর ফারুখকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনার দিন রাতেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। তদন্ত কমিটির ফলাফল অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেতা ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তালহার জুবায়েরের নামে একটি মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হলের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তার সনদপত্র আটকানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না কেন না সে এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না।’
এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম জোয়ারদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তালহার বিরুদ্ধে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’