রাবি শিক্ষককে ছাত্রের মারধর, বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় হামলাকারী ছাত্রের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইবিএর শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে তাঁরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন শেষে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ভবন চত্বরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে মানববন্ধন শেষে আইবিএর পরিচালক বরাবর তাঁরা স্মারকলিপি দেন।
এ বিষয়ে মানববন্ধনে আইবিএর দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী বিবেক মোর বলেন, ‘আজ দেশে শিক্ষাব্যবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? শিক্ষকরা মার খাচ্ছেন শিক্ষার্থীর হাতে। যাঁরা আমাদের পড়ান-শেখান তাঁরা যদি লাঞ্ছিত হন, তাহলে আমরা মনে করি জাতি লাঞ্ছিত হয়। আমরা আমাদের শিক্ষককে মারধরকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকরা শ্রম ও মেধা দিয়ে আমাদের শিক্ষিত করে তোলেন। আমরা শিক্ষিত মানুষের মতো আচরণ না করে পশুর মতো আচরণ করছি। হাছানাত স্যার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শিক্ষার্থী কর্তৃক হামলার শিকার হলেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
এদিকে একই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তির বিচার দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরাও।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যিকীকরণের ফলে এখানে ছাত্রের হাতে শিক্ষক মারধরের ঘটনা ঘটছে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা নিতে আসা ছাত্ররা শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং তারা ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার সম্পর্ক বজায় রাখতে জানে। যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ কিনতে এসে শিক্ষককে মারধর করে তারা কখনো ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কে অনুভূত হয় না। আমরা অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ইন্টার্নশিপের রিপোর্টে স্বাক্ষর করা নিয়ে অধ্যাপক হাছানাত আলীকে তাঁরই ছাত্র আবু নাহিদ মো. হায়দার মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক। আবু নাহিদ এমবিএতে (দিবা ) নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী।