ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিন : ঢাবি উপাচার্য
‘চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র চলছে’ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
আজ বুধবার ঢাবির কালো দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপাচার্য এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘অন্যায়-অপকর্ম করার জন্য এ দেশের মীর জাফর, খন্দকার মুস্তাকরা আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। চলতি আগস্ট মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগস্ট মাসে আমরা শোকে মুহ্যমান থাকি এবং আতঙ্কিত হই।’
সত্য অনুসন্ধান ও সত্য প্রকাশের জন্যই ঢাবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এখানে অসত্যের কোনো জায়গা নেই। তাই উদার ও আলোকিত মন নিয়ে সমাজের অন্ধকার দূর করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা)ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)ড. মো. আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ কারা নির্যাতিত একজন ছাত্র, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কিছু সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ছাত্ররা আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক ও আটজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালায়।