ইবির আবাসিক হল থেকে ককটেল ও বোমা উদ্ধার, আটক ২
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলে তল্লাশি চালিয়ে ককটেল, পেট্রলবোমা, দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা ও রাত ৮টার দিকে দুদফা তল্লাশি চালায় হল প্রশাসন ও পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে শিবিরকর্মী অভিযোগে শামিম ওসমান নামের এক ছাত্রকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্রবহনের অভিযোগও আনা হয়। এই মারধরের একপর্যায়ে শামিম ওসমান পালিয়ে যায়।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাদ্দাম হোসেন হলে অবস্থান নেয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাদ্দাম হোসেন হল তল্লাসির সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা গোলাম আজম নামে আরো এক শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে মারধর করে পুলিশে দেয়।
এরপরে বিকেল সাড়ে ৪টায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আবু হাসনাত নামের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে হলে ফিরছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁকেও শিবির সন্দেহে মারধর করে পুলিশে দেয়।
তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের পর রাত ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান সাদ্দাম হোসেন হলে গিয়ে তল্লাশি করেন। হলের ৩১৫, ৩১৬, ৩১৭ এবং ৩১৮ নম্বর কক্ষে তল্লাশি করা হয়। এ সময় হলের উত্তর ব্লকের তৃতীয় তলায় টয়লেট থেকে সাতটি ও ৩১৭ নম্বর কক্ষ থেকে চারটি ককটেল, একটি রামদা, কয়েকটি চাকু, ককটলে তৈরির সরঞ্জামাদি, কিছু বই খাতাসহ ইলেট্রনিক্স সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মেহেদী হাসান এক বিবৃতিতে জানান, ইবির হলে তল্লাশি চালিয়ে ১১টি ককটেল, পেট্রলবোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, রামদা, শিবিরের কিছু বই-খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় হল থেকে শিবিরের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আমরা শিবিরের কর্মীদের অচিরেই গ্রেপ্তার করব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা বিকেলে প্রাথমিকভাবে অভিযান চালিয়েছি। পরে পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেহভাজন রুমগুলোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ককটেল, বোমাসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’