গেস্টরুমে দেরিতে আসায় শিক্ষার্থীকে মারধর, অস্বীকার ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের অতিথি কক্ষে (গেস্টরুমে) আসতে দেরি করায় এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের এক নেতা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম নাইম ইসলাম। তিনি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মুহসীন হলের শিক্ষার্থী ও হল সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টায় হলের অতিথি কক্ষে ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডাকেন হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। সেখানে আসতে দেরি করেন নাইম। এই কারণে হল ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক আরিফুল ইসলাম তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং এক বড় ভাইয়ের নাম জানতে চান।
কিন্তু নাইম ওই ভাইয়ের নাম বলতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফুল তাঁকে মাথায় ঘুষি মারেন। এতে নাইম আহত হন। আহত অবস্থায় তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন আরিফুল। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি তাঁকে মারিনি। সে দেরি করে গেস্টরুমে এসেছিল। আমি তাঁকে দেরি করার কারণ জানতে চাইলে সে অসুস্থতার কথা বলে। পরে তাঁকে রুমে যেতে বলা হয়।’
ওদিকে গতকাল রাতে ওই গেস্টরুম থেকে আরো তিন শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হল সূত্রে আরো জানা যায়, গতকাল বিকেলে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ায় ওই তিনজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই তিন শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের দিপু ইসলাম, ফারসি বিভাগের দ্বীন ইসলাম ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিলন। এঁরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁদের বের করে দেন হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান মিজান।
এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার হলে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটতে পারে না। আপনি বলেছেন, আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব।’