ব্রিটিশ কাউন্সিল রক্ষায় শহীদ ৮ পুলিশ সদস্যের স্মৃতিতে স্তম্ভ
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের সেই ভয়াল কালরাতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা শহরের নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, ঠিক তখন ব্রিটিশ কাউন্সিলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আটজন পুলিশ সদস্য।
সেদিন ব্রিটিশ কাউন্সিল রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন ওই আট পুলিশ সদস্য। এবার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মধ্য দিয়ে তাঁদের স্মরণ করা হলো।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রাঙ্গণে স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক কিরন ডেভেইন, দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর মার্ক স্টিফেনস ও বাংলাদেশের পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম।
এ বিষয়ে বারবারা উইকহ্যাম বলেন, এ স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচনের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় জীবনদান করা অসম সাহসী শহীদদের প্রতি আন্তরিক সম্মান জ্ঞাপন করেছে।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাজ ও এর অবদানের ওপর আলোকপাত করা হয়।
বাংলাদেশ নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাজের অগ্রগতি সরাসরি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ সফর করছেন কিরন ডেভেইন। তিনি বলেন, তরুণদের শক্তিশালী সমাজ গঠনের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা ও একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতাকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে দেশজুড়ে তরুণদের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে কিরন ডেভেইন ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যেও ইতিবাচক সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ধারণা ও জ্ঞানের বিনিময়ের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা ৭০ বছর ধরে দুই দেশের সর্বোচ্চমানের শিক্ষা, সমাজ ও শিল্পের বিস্তৃতি নিয়ে কাজ করে চলেছি, যা এ দেশের প্রবৃদ্ধিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে চলেছে।’