‘আনন্দের আগস্ট’ লেখায় শিক্ষকের কক্ষ ভাঙচুর
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষকের কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের (বর্তমানে কমিটি স্থগিত) কর্মীরা।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিল্ডিং ‘ডি’র নিচতলার ১০০৯ নম্বর কক্ষের জানালা ও নৃবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মঞ্জুরুল হায়দার সুমনের নামফলক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষক কক্ষে ছিলেন না।
সহকারী অধ্যাপক মঞ্জুরুল হায়দার সুমন বলেন, ‘গত শনিবার বিকেলে আমার ফেসবুক পেজে একটা স্ট্যাটাস দেই। সে স্ট্যাটাসটি কারো উদ্দেশে দেওয়া হয়নি। আগামী আগস্ট মাসেই আমার ও আমার স্ত্রীর জন্মদিন এবং একটা জার্নালে আমার আর্টিকেল প্রকাশের কথা রয়েছে। সেই ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করতেই এই স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।’
শিক্ষক সুমনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখা ছিল- ‘দিন গুনছি... আসছে আমার আনন্দের আগস্ট।’ লেখাটি দেখার পর গতকাল রাতেই ফেসবুকে ওই শিক্ষকের সমালোচনা শুরু করেন শাবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির নেতাকর্মীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার একাডেমিক ভবনে ঢুকে কক্ষে ভাঙচুর করেন তাঁরা।
লেখাটি বিতর্ক সৃষ্টি করছে বলে সহকর্মীরা জানালে পরে স্ট্যাটাসটি মুছে দেন বলে জানান মঞ্জুরুল হায়দার সুমন।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও শাবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ বলেন, ‘আগস্ট মাসে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। শোকের এই মাসকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখানো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তারা যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিজেরাই মঞ্জুরুল হায়দার সুমনের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করব।’
এদিকে ঘটনার পর শাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়াকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রলীগ নেতারা।