পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হল ভাঙচুর
হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় এ ধাওয়া, পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সাদেকী শান্ত, সেক্রেটারি ওয়ালীউল্লাহ গ্রুপের সঙ্গে সহসভাপতি আরাফাত হোসেন-মুকিম-মতিন পক্ষের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
এরই জেরে সোমবার ভোরে আরাফাত পক্ষের লোকজন শান্ত পক্ষের খালেদ হোসেন (২২) নামে এক কর্মীকে মারধর করে। খালেদ কয়েকদিন আগে আরাফাতের পক্ষে ছিল এবং আরাফাতের সহায়তায় হলে ওঠে। কিন্তু হলে ওঠার পর পরই শান্ত গ্রুপের পক্ষে চলে যায়।
মারপিটের এ ঘটনা নিয়ে সকালে দুই পক্ষের মধ্যে ক্যাম্পাস চত্বরে পাল্টপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের দুটি কক্ষে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দিয়ে দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়।
মারপিটের বিষয়ে পাবিপ্রবির প্রক্টর আওয়াল কবির জয় এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয়। সেখানে মীমাংসা না হওয়ায় বিকেলে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে তিনি জানান।
প্রক্টর বলেন, ‘ক্যাম্পাস থমথমে পরিবেশ বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
পাবনা সদর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, সকালে মারপিটের ঘটনা ঘটেছিল। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত।