খালেদা জিয়ার নামসংবলিত ফলক পুনঃস্থাপন করল জবি প্রশাসন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে উন্মোচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামসংবলিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ফলকটি পুনঃস্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নতুন ফলকটি দেখা গেছে।
তবে ফলকটি কখন পুনঃস্থাপিত হয়েছে তা জানা যায়নি। এর আগে খালেদা জিয়ার নামসংবলিত ফলক পুনঃস্থাপন করার জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল এবং শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, গত ৭ জুন বুধবার গভীর রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ঘোষণার নামফলকসহ ফলকের সম্পূর্ণ বেদি সরিয়ে ফেলে দুষ্কৃতকারীরা। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল এর প্রতিবাদ জানায়। সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই ঘটনাকে ন্যক্কারজনক আখ্যায়িত করে দ্রুত ওই নামফলক আগের স্থানে পুনঃস্থাপনের জোর দাবি জানান।
একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান অনুরূপ ফলক তৈরি করে পুনঃস্থাপন করার জন্য রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফলকটি আগের জায়গাতেই পুনঃস্থাপন করা হলো। এতে জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ রহমান বিপ্লব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মাননীয় উপাচার্যের নির্দেশে ফলকটি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। আগের জায়গাতেই স্থাপন করা হয়েছে।’
১৯৯৫ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জগন্নাথ কলেজে এসেছিলেন এবং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়ে ফলক উন্মোচন করেন। পরে ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর ওই ঘোষণার আলোকে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।