ঢাবিতে গাঁজা খেতে গিয়ে ধরা খেলেন এএসআই
গাঁজা সেবনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাবির মোতাহার হোসেন ভবন থেকে তাঁদের আটক করে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।
আটকদের একজন হলেন এএসআই মাকফুর রহমান। তিনি নিউমার্কেট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। আরেক ব্যক্তির নাম মইনুল ইসলাম। তিনি নিজেকে গাঁজা বিক্রেতা বলে পরিচয় দিয়েছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী রমজানের কার্ড বিতরণ করছিলেন। এ সময় আইন অনুষদের সামনে তাঁদের দুজনকে গাঁজা তৈরি করতে দেখতে পান তাঁরা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক নিয়ন্ত্রক অফিসারের এক গাড়িচালকের হাতেও গাঁজা দেখা যায়। পাশে দুই ব্যক্তিকেও গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। পরে সন্দেহ হলে তাঁদের পরিচয় নিতে গেলে ওই ড্রাইভার দৌড়ে পালিয়ে যান। এর পর ওই গাঁজা সেবনকারীকে প্রক্টরের হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওই ড্রাইভার নিজেকে ঢাবির কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। পরে তাঁর কার্ড বের করলে আমরা দেখি তিনি একজন ঢাবি কর্মকর্তার গাড়ির ড্রাইভার। পরে প্রক্টরকে খবর দিতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।’
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘গাঁজা সেবনের দায়ে ঢাবির প্রক্টর আমার কাছে দুজনকে তুলে দিয়েছেন। তাঁদের একজন নিউমার্কেট থানার এএসআই মাকফুর রহমান ও আরেকজন গাঁজা বিক্রেতা মইনুল ইসলাম।’
ওসি বলেন, ‘মইনুল ইসলামকে ৫৪ ধারায় (সন্দেহমূলক) চালান দেওয়া হয়েছে।’ এএসআইর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘তাঁর ব্যাপারে নিউমার্কেট থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা তাঁর বিষয়টি দেখছি। তিনি এর সঙ্গে জড়িত কি না তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’