টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে আইসিটি সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি ছাড়া জ্ঞানের বহুমুখী ব্যবহার ও উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের সালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাই আমাদের প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক টেকসই কৃষি-প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং তার যথাযথ ব্যবহার করা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এখন প্রয়োজন স্বল্প খরচে গুণগতমানের উৎপাদনের বিভিন্ন উদ্ভাবনীর জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।’ কৃষিক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপক অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি ১৯৭৩ সালে কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন দেশকে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
রাষ্ট্রপতি হামিদ এই বিশেষ দিনে কৃষিতে স্নাতকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা সব সময় মানবিক মূল্যবোধ, সচেতনতা ও দেশাত্মবোধকে জাগ্রত রাখবে। তোমরা তোমাদের মেধা, জ্ঞান ও কর্মের মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্যও সচেষ্ট থাকবে।’
রাষ্ট্রপতি কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এবং এই দেশকে ভুলে না যাওয়ার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং সমাবর্তন বক্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।