চলচ্চিত্রবিষয়ক জার্নাল ম্যাজিক লণ্ঠনের ১২তম সংখ্যা প্রকাশ
চলচ্চিত্রবিষয়ক ষাণ্মাসিক গবেষণা জার্নাল ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’-এর ১২তম সংখ্যা বের হয়েছে। এই জার্নালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লেখা চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, নিউ মিডিয়াবিষয়ক ২৯টি প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকার রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ম্যাজিক লণ্ঠনের সম্পাদক কাজী মামুন হায়দার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি সংখ্যার শুরুতে থাকছে সদ্য জীবনের মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়া ইরানি চলচ্চিত্রের কবিখ্যাত নির্মাতা আব্বাস কিয়ারোস্তামি স্মরণে একটি বিভাগ। সেখানে তাঁর চলচ্চিত্র, সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা রয়েছে। এ ছাড়া চলচ্চিত্রের বর্তমান, চলচ্চিত্রবীক্ষণ, চলচ্চিত্র সমালোচনা, ম্যাজিক আড্ডা, ম্যাজিক পুনঃপাঠ, সাক্ষাৎকার, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র ও নির্মাতা, চলচ্চিত্রের বই এবং সংবাদপত্র-টেলিভিশন-নিউ মিডিয়া নামে নিয়মিত বিভাগে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো প্রবন্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, চলচ্চিত্রের সামনে রাষ্ট্র-কাঠামোর যেসব বাধা সাংবিধানিক রূপে হাজির হয়, সেসব বাধাকে ডাকা হয় সেন্সরশিপ নামে। এই সেন্সরশিপ কেবল ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ইরানই নয়, ‘প্রগতিশীল’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ সমাজেও সরব উপস্থিত। গণমাধ্যম, চলচ্চিত্রের কণ্ঠ রোধে রাষ্ট্রের হাতিয়ার সেন্সরশিপের আদ্যোপান্ত নিয়ে লেখা এই প্রবন্ধটি স্থান পেয়েছে চলচ্চিত্রের বর্তমান বিভাগের প্রথমে। আরো রয়েছে ঢালিউড, হলিউড, চীন ও ভারতের বলিউড, টালিগঞ্জ, ভোজপুরি, মারাঠি চলচ্চিত্র নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ও সমালোচনামূলক লেখা। এতে বাদ যায়নি মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’, সৃজিত মুখার্জির ‘রাজকাহিনী’র মতো জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রও।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে একদিকে ‘যথাযথ’ নায়কের সংকট, অন্যদিকে ‘হিরো আলম’দের হিরো হতে চাওয়ার বাসনা নিয়ে দুটি প্রবন্ধ এবং অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা নিয়ে রয়েছে একটি বিশ্লেষণধর্মী লেখা। ৩২৮ পৃষ্ঠার এ জার্নালটির মূল্য রাখা হয়েছে ১৩৫ টাকা।
‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ নামে এ সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে ২০১১ সালে। জানুয়ারি ও জুলাই মাসে নিয়মিত এ জার্নালটি প্রকাশ হয়। প্রতি রোববার চলচ্চিত্রবিষয়ক ও বুধবার সাধারণ পাঠচক্র করা হয়। এ ছাড়া ম্যাজিক লণ্ঠনের প্রযোজনায় সংগঠনটির সদস্যরা নিয়মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করে থাকেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আজিজ সুপার মার্কেটের বিদিত ও তক্ষশিলা, পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র, প্রকৃতি ও নোকতায় পাওয়া যাচ্ছে ম্যাজিক লণ্ঠন। এটি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগেও পাওয়া যাবে। এ ছাড়া জার্নালটি জাহাঙ্গীরনগর ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এবং ঢাকার বাইরে রাজশাহীর বিদ্যাসাগর ও বিশ্ববিদ্যালয় গিফট কর্নার, খুলনার মৃত্তিকা লাইব্রেরিতে পাওয়া যাচ্ছে। এ বছরের একুশে বইমেলাতেও লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে জার্নালটি পাওয়া যাবে।