অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স পরিদর্শন কার্যক্রমে ত্রুটি পাওয়ায় ৩৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কারকাজের উন্নতি না হওয়ায় গত এক বছরে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দেড় শতাধিক কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের কনফারেন্স রুমে আজ শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পোশাকশিল্প খাতের শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৯১ শতাংশ পোশাক কারখানায় আগস্ট মাসের বেতন এবং শতভাগ কারখানায় উৎসবভাতা পরিশোধ হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলোতে আগামীকালের মধ্যেই আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে। এখন পর্যন্ত ৮৮ ভাগ কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বাকিগুলোতে ছুটি দেওয়া হবে।’

‘শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে বিজিএমইএ ও সরকার যৌথ ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে নয়টি বিভাগে ভাগ করে আঞ্চলিক কমিটি এবং ১৫টি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস সংক্রান্ত বিষয়ে ৯২৮টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে। যার মধ্যে ১৮টি কারখানার সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিএমইএ অফিসে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে, যা দুই শিফটে কাজ করছে।’

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদানে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ছুটির দিনেও পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায় তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে ৯, ১০ ও ১১ তারিখ চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টমস, মোংলা কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস ও পানগাঁও কাস্টমস এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় খোলা থাকবে।’

ঘরমুখো মানুষের চলাচল সহজ করতে ছয়দিন মহাসড়কে ট্রাক-লরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির কাজে নিয়োজিত যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

চালু কারখানা বন্ধ প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, ‘অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স পরিদর্শন কার্যক্রমে ত্রুটি পাওয়ায় ৩৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কারকাজের উন্নতি না হওয়ায় গত এক বছরে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দেড় শতাধিক কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।’

বিজিএমইএ ভবন সম্পর্কে উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আদালত আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তাতে আমাদের শ্রদ্ধা আছে। যে রায় হয়েছে তার ওপর রিভিউ করা হবে।’

এ সময় বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, নাসির উদ্দিন ছাড়াও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।