‘সেরা রপ্তানিকারক পদক’ পেল প্রাণ
সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক হিসেবে টানা ১২ বার ‘সেরা রপ্তানিকারক পদক’ পেল দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ। ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ছয়টি পদক অর্জন করল দেশের অন্যতম এ শিল্পগোষ্ঠী।
আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রপ্তানি পদক গ্রহণ করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চার কর্মকর্তা। প্রাণের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রপ্তানিক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য গত দুই অর্থবছরের জন্য প্রাণ গ্রুপকে এ পদক দিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্য রপ্তানিতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ তিন পদকই পেয়েছে প্রাণ গ্রুপ। এর মধ্যে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড স্বর্ণপদক, প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড রৌপ্য ও প্রাণ ফুডস লিমিটেড ব্রোঞ্জপদক অর্জন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রপ্তানি পদক গ্রহণ করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, প্রাণের পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ও প্রাণের প্রধান রপ্তানি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
অন্যদিকে, ২০১১-১২ অর্থবছরেও অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্য রপ্তানিতে প্রাণ এক্সপোর্ট লিমিটেড, প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড ও প্রাণ ফুডস লিমিটেড যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক লাভ করে।
১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে পা রাখে প্রাণ। বর্তমানে বিশ্বের ১৩০টি দেশে প্রাণের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘এসব পদক পাওয়া সম্ভব হয়েছে আমাদের ব্র্যান্ডের ওপর বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের আস্থা রাখার জন্য। সেরা রপ্তানিকারক পদকপ্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত। আগামীতে এটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
কামরুজ্জামান আরো বলেন, ‘প্রাণ পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত ও মধ্যপ্রাচ্য। বাজার সম্প্রসারণে প্রাণ গ্রুপ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।’
১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্য রপ্তানির জন্য প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক অর্জন করে প্রাণ গ্রুপ।