অনুমোদন পেল সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন
ইউনিক গ্রুপের অর্থনৈতিক অঞ্চল সোনারগাঁও ইকোনমিক জোনকে প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বেজা সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূর আলীর কাছে এ লাইসেন্স তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে নূর আলী বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাস্তবায়নাধীন ইকোনমিক জোনগুলো এরই মধ্যেই বিদেশি উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। সোনারগাঁও ইকোনমিক জোনে অনেকেই ভারী শিল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এতে উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়ন এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ, এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও প্রতিবছর অতিরিক্ত চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় ব্যক্তি খাতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার এ প্রয়াস। সরকার আশা করে, ব্যক্তি খাতের অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের মাধ্যমে স্বনামধন্য উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব ইমেজ ব্যবহার করে বিদেশি উদ্যাক্তাদের এ দেশে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে সক্ষম হবে।
বেজার নির্বাহী সদস্য ড. মো. এমদাদুল হক বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বেজা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে বেজা এরই মধ্যে আটটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোনারগাঁও ইকোনমিক জোনকে লাইসেন্স দেওয়া হলো।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন পিরোজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। মোট জমির পরিমাণ ৫৫.০৭৮ একর। ঢাকা জিরো পয়েন্ট থেকে এ অঞ্চলের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য ড. মো. এমদাদুল হক, মোহাম্মাদ আবদুস সামাদ, হরিপ্রসাদ পালসহ ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও ইউনিক গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।