প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা প্রাপ্যতার সুযোগের উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে প্রাভা হেলথ কেয়ার। আর এ লক্ষ্যে রাজধানীতে উদ্বোধন করা হলো প্রাভা ফ্যামিলি হেলথ সেন্টার।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বনানীতে প্রাভা হেলথের প্রথম ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

বনানীর প্রাভা হেলথ কেয়ার সেন্টার প্রথম কোনো হেলথ সেন্টার যেখানে পারিবারিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শের সুযোগের পাশাপাশি ল্যাব ও ইমেজিংসহ বিস্তৃত পরিসীমার ডায়াগনোস্টিক সেবা রয়েছে। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের বিজস্পার্ক পার্টনার প্রাভা প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীর আরো উন্নত সেবা নিশ্চিত করছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটি আবারও বাংলাদেশে ফ্যামিলি মেডিসিন ধারণা, বিশেষ করে পারিবারিক ডাক্তারের প্রচলন করেছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাভার প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সিলভানা কিউ সিনহা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাবিল রহমান সিনহা, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার এবং টুইটারের সাবেক প্রধান বিজ্ঞানী ড. আবদুর চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে সিলভানা কিউ সিনহা বলেন, ‘সঠিক ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মানুষ হিসেবে আমাদের মৌলিক অধিকার। প্রতিটি রোগীর যত্ন ও সম্মানের সাথে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতাই আমাকে এমন একটি ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের চিন্তা করতে বাধ্য করেছে যেখানে চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে পেশাদারত্ব, দক্ষতা ও আস্থার সম্পর্ক থাকবে। মুষ্টিমেয়র জন্য বিলাস বহুলতা নয়, প্রত্যেক নাগরিকেরই এটা অধিকার। কৃত্রিম অভিজ্ঞতা, স্মার্ট ডিজাইন ও বায়োটেকনোলজির ওপর গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যসেবা। এ ক্ষেত্রে, প্রাভা প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীর আরো উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিৎ করতে এবং চিকিৎসা প্রাপ্যতার সুযোগের উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে। যা বাংলাদেশিদের জন্য ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে। প্রযুক্তি ডাক্তারের অবস্থা নিয়ে নিতে পারবে না কিন্তু প্রযুক্তি আপনার এবং আপনার পরিচর্যা টিমের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ব্যবস্থা গত পরিচালনায় সহায়তা করবে।’

নিজের বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রাভাসহ যেসব উদ্যোক্তা স্বাস্থ্য খাতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ ছাড়া বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তির দিকে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে, নারী নেতৃত্বে প্রাভা যে অনন্য নজির স্থাপন করেছে এটা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রাভা যুক্তরাষ্ট্র ও দেশের বাইরের ডাক্তারদের যুক্ত করেছে। আমি তাদের এ উদ্যোগ নিয়ে বিশেষভাবে রোমাঞ্চিত।’

স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘এটা খুবই আশা ব্যঞ্জক যে নারী নেতৃত্বাধীন স্টার্টআপগুলো রোগীর অভিজ্ঞতাকে ইতিবাচকভাবে রূপান্তরিত করতে স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। প্রাভার রোগীরা তাদের মেডিকেল রেকর্ড দেখতে পাবে এবং ডাউনলোড করতে পারবে। পাশাপাশি, ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। এমনকি তাদের স্ক্যান রিপোর্টগুলো বিশ্বজুড়েই রেডিওলজিস্টরা পর্যালোচনা করবেন।’

প্রাভা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মলিকুলার ক্যান্সার ডায়াগনোস্টিক (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন- পিসিআর) ল্যাবযাস্তন, সার্ভিকাল, কলোরেক্টাল ও ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসা সেবাদানের পাশাপাশি, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডস (ইএইচআর) সুবিধাসহ দেশের প্রথম হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস) সংযুক্ত হাসপাতাল। এর পাশাপাশি, প্রাভাতে রোগীর জন্য অনলাইনে ও ফোনের অ্যাপ পোর্টাল সুবিধা রয়েছে।

প্রাভা একটি ফ্যামিলি হেলথ সেন্টার নেটওয়ার্ক যেখানে রোগীকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগীর আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ল্যাব ও ইমেজিংসহ সব ধরনের ডায়াগনোস্টিক সেবা ও পারিবারিক ডাক্তারের পরামর্শের সুযোগ পাওয়া যাবে। প্রাভা হেলথে সেন্টারে যেসব সেবা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো :

-    ফ্যামিলি হেলথ প্রফেশনাল

-    ভিজিটিং স্পেশালিস্ট

-    স্তন, সার্ভিকাল, ফুসফুস ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারে প্রাথমিক ও অত্যাধুনিক প্যাথলজি (বাংলাদেশের প্রথম মলিকুলার ক্যান্সার ডায়াগনোস্টিক) (পিসিআর-পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) সেবা

-    ইমেজিং এবং টেলিরেডিও গ্রাফির বিভিন্ন সুযোগ

-    ইলেকট্রনিকহেলথ রেকর্ডস (ইএইচআর) সুবিধাসহ দেশের প্রথম হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস) সংযুক্ত হাসপাতাল। এর পাশাপাশি, প্রাভাতে রোগীর জন্য অনলাইনে ও ফোনের অ্যাপপোর্টাল

-    ইন-হাউজ ফার্মেসি

এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন, বিপণন প্রধান জলিল খানের সঙ্গে ০১৮১৬০৪৬৫৫৯ নম্বরে।