মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলে অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিতে পারে এবং তা মোকাবিলার সর্বকৃষ্ট উপায় দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দেওয়া।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত অর্থনীতির স্বচ্ছতাবিষয়ক এক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হলে দারিদ্র্য বিমোচনের বিষয়ে উদাসীনতা যেন না আসে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব মাঝামাঝি অবস্থায় আছে। এই অবস্থার উন্নতির জন্য স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি নানা পদক্ষেপ নেওয়া এখনই প্রয়োজন।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোয়েল রিফম্যান বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ১ জুলাই ওয়াশিংটন থেকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) এক হাজার ৪৬ থেকে চার হাজার ১২৫ ডলার, সেগুলোকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ বলা হয়। সে তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ছাড়াও আরো তিনটি দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তান। এতদিন এগুলো নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল।
সরকারের দাবি অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে। এজন্য সরকারের ‘পার্সপেক্টিভ প্ল্যান (২০১০-২০২১)’ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ২০০০ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার ডলার।