আগামী অর্থবছরের জন্য দেড় লাখ কোটি টাকার এডিপি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৫৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে জোগান দেওয়া হবে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছ থেকে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৫৭ হাজার কোটি টাকা।
অনুমোদন পাওয়া এই এডিপি চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বা ৩৯ শতাংশ বেশি।
আজ রোববার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় নতুন এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এক ব্রিফিংয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির হিসাব দিয়ে বলেন, এক লাখ ৫৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকার বাইরে এডিপিতে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জন্য আরো ১০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ হিসাবে আগামী অর্থবছরে এডিপির মোট আকার এক লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
মন্ত্রী জানান, এবার এডিপিতে খাতভিত্তিক সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার খাতে। এতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।
অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে বিদ্যুৎ খাত। এটি মোট এডিপির ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ খাতের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের জন্যই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বরাদ্দের দিক দিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হলো সড়ক পরিবহন। এই খাতে ১৬ হাজার ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল সংযোগ, মেট্রোরেল ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণসহ অনেক মেগা প্রকল্পের চাহিদা পূরণে এই বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে, যা মোট এডিপির ৫৫ শতাংশ। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এডিপির বাস্তবায়ন হার বেশি। নানা সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের কারণে এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।