একনেকে ৮ উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আজ মঙ্গলবার আটটি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৭১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, একনেক সভায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এখানে বড় উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারবে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন খুলনা শহর যেহেতু দিন দিন বড় হচ্ছে সে জন্য পুরো শহরকে সংযোগ সড়ক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততার উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল সেতু ও শেখ রাসেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। দুটি সংযোগ সড়ক (নিরালা এভিনিউ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এভিনিউ) নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এ ছাড়া একনেকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২০ কোটি টাকা। যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন থেকে গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলা এবং গণকবরসহ ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীর অনুন্নত এলাকা উন্নয়ন এবং উন্নত এলাকার অবকাঠামো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ২০ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড এনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
একনেক বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা অংশ নেন।