জাতীয় এসএমই নীতিমালা তৈরির দাবি ডিসিসিআইয়ের
জাপান ও মালয়েশিয়ার এসএমই আদর্শকে অনুকরণ করে বাংলাদেশে এসএমই খাত প্রসার এবং প্রবৃদ্ধির জন্য একটি জাতীয় এসএমই নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান।
আজ বুধবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ডিসিসিআইয়ের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সৌজন্য সাক্ষাতে কাসেম খান এ দাবি জানান।
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, দেশের মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭৫ ভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এসএমই খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি না হলে এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এসএমই শিল্পের আরো উন্নয়নসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভ্যালু চেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আবুল কাসেম খান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মালিকানাধীন ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে দেশে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগসহ, প্রায় চার মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত শিল্পে, স্থানীয় কাঁচামাল এবং ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ সরবরাহ ব্যবস্থপনার জন্য একটি নীতিমালা প্রয়োজন বলে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন।
বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়ার দাবি জানিয়ে আবুল কাসেম খান বলেন, পাটশিল্পের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা সৃষ্টিসহ পাটের বহুমুখী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যথায় পাটজাত পণ্যে ভালো করা সম্ভব নয়।
এ সময় ডিসিসিআইয়ের ২০১৭ সালের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।