প্রধানমন্ত্রীর টার্গেট জিয়াউর রহমানের মাজার : রিজভী
মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়নের নামে সরকার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সরানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের নাম শুনলেই বর্তমান সরকারের গা রি রি করে ওঠে। অথচ সেই পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি জাতীয় সংসদ ও এর সংলগ্ন পরিসর। সুতরাং সরকার এ বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যায়।’
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আসলে প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটই হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার। লুই আই কানের নকশা নিয়ে সরকারের দৌড়-ঝাঁপ প্রধানমন্ত্রীর হিংসাশ্রয়ী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। এ দেশের দেশপ্রেমী জাতীয়তাবাদী শক্তি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর ষড়যন্ত্র সব শক্তি দিয়ে রুখে দেবে। মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রে সরকার নিজেদের পতনে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, স্থপতি লুই আই কানের আঁকা জাতীয় সংসদের মূল নকশার বাইরে বর্তমান সরকারসহ বিগত সব সরকারের আমলে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, সংসদ সদস্যদের বাসভবন, র্যাবের কার্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নির্মিতব্য মেট্রোরেল প্রকল্পসহ নকশাবহির্ভূত অনেক স্থাপনা রয়েছে। তবে সরকারের টার্গেট কেবল জিয়ার মাজার।
এদিকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে সরকারের মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ সদস্য জনগণের কোনো ভোটই নেয় নাই, এই রকম গণতন্ত্র, এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয় নাই। এখন যেমন খুশি তেমন নির্বাচন করো, যেমন খুশি তেমন ভোট নেও এবং নিয়ে যে যত বেশি পার ভোট কাটো।’