বাল্যবিবাহ বন্ধে মা-বাবার সচেতনতাই যথেষ্ট
আইন নয়, বাল্যবিবাহ বন্ধে মা-বাবার সচেতনতাই যথেষ্ট। আর সন্তানের মঙ্গল মা-বাবা ছাড়া আর কেউ বেশি কামনা করেন না। তাই বাল্যবিবাহ বন্ধে তাঁদেরই বেশি উদ্যোগী হতে হবে। বাল্যবিবাহ শুধু নিজের সন্তান নয়; পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নেরও অন্যতম অন্তরায়।
আজ সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস।
শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, একটি দেশের অর্জিত উন্নয়ন ততক্ষণ টেকসই হয় না, যতক্ষণ না ওই দেশের সামাজিক উন্নতি হয়। আর সামাজিক উন্নতির অন্যতম ব্যাধি হলো বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ নারীর শিক্ষা, শারীরিক ও মানসিক অবস্থানকে পিছিয়ে দেয়। তাই নারী, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতির স্বার্থে আমাদের সবাইকে বাল্যবিবাহকে না বলে এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করতে হবে।
এই সময় জেলা প্রশাসকের আহ্বানে ‘বাল্যবিবাহকে না বলুন’ লেখা লালকার্ড প্রদর্শন করে বাল্যবিবাহকে না বলেন উপস্থিত লোকজন।
পরে অনুষ্ঠানের অতিথি ও দর্শকসহ সবাইকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস। তিনি শিবপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করেন।
শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর টেকনিক্যাল স্কুল মাঠে আয়োজিত ওই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা আহমেদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম অলি, ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার স্বপ্না বেগম ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার গোলাপ, শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জেন্ট (অব.) আবু তাহের, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক আব্দুল হেকিম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহিনুর আক্তার সূচী, ইমাম মাওলানা কামাল হোসেন খান, মাওলানা মিজান মিয়া, ইউনিয়ন কাজী মো. হাফিজ উদ্দিনসহ ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।