ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের কবলে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একাধিক ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ভোটকেন্দ্রে আটকা পড়েন সুইডিশ রাষ্ট্রদূত ইউহান ফ্রিসেল। এ ছাড়া পুরান ঢাকার কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে গেলে ভোটগ্রহণও স্থগিত হয়ে যায়।
সকালের দিকে কবি নজরুল ইসলাম কলেজে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী খান হাজি সেলিমের ওপর প্রতিপক্ষের কর্মীরা হামলা করে। লাঠি নিয়ে ওই প্রার্থীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ছাত্রলীগের কর্মীরা এ সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। কলেজের চারপাশে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, যা পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে কয়েকটি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভোটার ও পথচারীরা প্রাণভয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন।
ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন সত্তর বছর বয়সী হালিমা বেগম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণ্ডগোলের কারণে ভোট দিতে আসতে পারিনি। এখন এসেছি। এসে দেখি ভোট বন্ধ।’
এ সময় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা বাসায় চলে যান। ভোট শেষ হয়ে গেছে। রাস্তা থেকেই আমাদের তা বলা হচ্ছে। কেন্দ্রে আসতেই দিতে চাচ্ছে না।’ পরিস্থিতি একটু শান্ত হলেও ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে হতাশা নিয়ে ফিরে যান।
এ সময় কবি নজরুল ইসলাম কলেজের এ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইউহান ফ্রিসেল। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি কেন্দ্রেই আটকা পড়েন। একপর্যায়ে তিনি বেরিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়েন। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে কিছু জানতে চাইলে ফ্রিসেল বলেন, ‘আমি চাইব আপনারা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিন। যারা ভোট দিতে এসেছিল কিন্তু ভোট দিতে পারছে না। আমরা কেবল পর্যবেক্ষক, আমরা বিচার করতে পারি না।’
বিশৃঙ্খলার কারণে খিলগাঁও মডেল কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। এ সময় এক ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর প্রার্থী নিজামউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শুনি বিএনপি নাকি বয়কট করেছে। আমরা তো মেয়র প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামাই না এত। কাউন্সিলর নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলাম। ভোট ভালো হচ্ছিল। হঠাৎই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে নেয়। পুলিশ সেখানে ছিল না। কেন্দ্র দখল করে ওরা সিল মেরেছে।’