নির্বাচনে খালেদা জিয়ার পরাজয় নিশ্চিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তিনি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছেন এবং মামলা থেকে বাঁচার জন্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান।’

আজ সোমবার বিকেলে তিন সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের একদিন আগে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, পেট্রলবোমার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনে এসেছেন। নির্বাচন বানচাল করে আবার কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় কি না- সেই চিন্তায় তিনি আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান। 

আমির হোসেন আমু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উদ্দেশে বলেন, নিজেকে সংশোধন করুন। মিথ্যাচারের কারণে মানুষ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি অভিযোগ তাদের আমলেই শুরু হয়েছে। গত তিন মাসে পেট্রলবোমায় নিহতদের প্রতি তিনি সমবেদনা জানাননি। উনার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। 

‘খালেদা জিয়া সব সময় নির্বাচনের আগে এক কথা বলেন, পরে আরেক কথা বলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন উনার প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। উনার দলীয় ব্যর্থতার কারণে প্রার্থী দিতে পারেননি।

তারা চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে প্রার্থী করতে পারেননি। আবদুল আউয়াল মিন্টু ছিলেন তাঁর দলের প্রার্থী। কিন্তু সে কোনো কারণে প্রার্থী হতে পারেনি, তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছে। তাঁকে কেউ চেনে না।’ 

বাসস জানায়, সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুর রহমান, সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম প্রমুখ।