আট ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
সোয়া আট ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চলাচল শুরু হয়। এ ঘটনায় আটজন যাত্রী আহত হন।
শ্রীপুরের কাওরাইদ স্টেশনের মাস্টার এমদাদুল হক ও ট্রেনের চালক আফাজ উদ্দিন জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রেল সড়কের গফরগাঁওয়ের গয়েশপুর বটতলা এলাকায় সকালে রেল লাইনের সংস্কার কাজ চলছিল। এ সময় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ১৫টি বগিতে যাত্রী নিয়ে বহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে ট্রেনটি শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছাকাছি সংস্কার কর্মীরা ট্রেনকে থামার জন্য হঠাৎ সিগন্যাল দেন। এ সময় ট্রেনের চালক দ্রুত ট্রেনটিকে থামানোর জন্য ব্রেক করলে ট্রেনের ইঞ্জিন ও ইঞ্জিন সংলগ্ন একটি বগির চাকা লাইনচ্যুত হয় এবং সংস্কার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলিকে হেঁচড়ে কয়েকশত গজ দূরে নিয়ে থেমে যায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী লাফিয়ে নিচে পড়ে। এ সময় আটজন যাত্রী আহত হয়।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংস্কারকর্মীরা আউটার সিগন্যালের বাইরে কোনো সিগন্যাল ছাড়াই কাজ করছিল। ট্রেনটি তাদের কাছাকাছি চলে এলে কর্মীরা ট্রেনটিকে থামার জন্য হঠাৎ সিগন্যাল দেয়। এতে ট্রেনটির গতি দ্রুত কমানোর জন্য চালক ব্রেক কষলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনায় অন্য ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়নি। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির কিছু অংশ ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও গাজীপুরের শ্রীপুরের সঙ্গে সংযোগকারী সুতিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর ওপর এবং ইঞ্জিনসহ অপর অংশ গাজীপুরের কাওরাইদ এলাকায় পড়ে থাকে।
এ দুর্ঘটনার কারণে ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, জামালপুর কমিউটার এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বেশকয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে যাত্রাবিরতি করে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে।
খবর পেয়ে ঢাকা ও ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
সন্ধ্যার দিকে শ্রীপুরের কাওরাইদ স্টেশনের মাস্টার এমদাদুল হক জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এর পর ওই পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।