গুম-খুন গুপ্তহত্যার বিচার করা হবে : খালেদা জিয়া
আওয়ামী লীগ গুপ্তহত্যাকারীদের দল অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে এলে সব গুম-খুন ও গুপ্তহত্যার বিচার করা হবে। বিএনপিকে ধ্বংস করাই ক্ষমতাসীনদের প্রধান লক্ষ্য বলেও অভিযোগ করেন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।
ইফতারের আগে সরকারবিরোধী দুই দফা আন্দোলনের সময় হতাহত এবং গুম হওয়াদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর এবং তাদের সান্ত্বনা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সন্তান হারানোর ব্যথা কী আমি নিজেও বুঝি। আপনারা দেখেছেন আমি আমার সন্তানকেও হারিয়েছি। তার ওপরে যদি দেখেন যে ক্রসফায়ার হয়েছে সেটা আরো দুঃখজনক। একটা নিরীহ ছেলেকে কথা নেই, বার্তা নেই গুলি করে মেরে ফেলবে-এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
‘এই আওয়ামী লীগ, এরা জালেম। এরা খুনি। এরা গুপ্তহত্যাকারী। ইনশাল্লাহ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসলে আমরা অবশ্যই এদের খোঁজ করার চেষ্টা করব। না হলে এদের সঙ্গে যারা খারাপি করেছে, এই র্যাব ও পুলিশের যারা এই অন্যায় কাজগুলো করেছে তাদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই।’ বলেন খালেদা জিয়া।
সম্প্রতি জঙ্গিবাদ দমনের বিশেষ অভিযানে আটক ১৬ হাজারের মধ্যে চার হাজারই বিএনপির নেতাকর্মী উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারের টার্গেট হলো বিএনপি, বিএনপিকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়। ভেবেছিল ২০১৪ সালে ইলেকশন করে আবার বিজয়ের বেশে আসবে। কিন্তু ২০১৩ সালে যদি বিএনপির এসব নেতৃবৃন্দকে গুম করা যায় বা খুন করা যায় তাহলে হয়তো ভাবছে বিএনপির কাজ করার লোক থাকবে না। কিন্তু তার প্রতিদানে দেশের মানুষ কী দিয়েছে? ২০১৪ সালে তাদেরকে ভোট পর্যন্ত দিতে যায় নাই। এটাই তাদের প্রতিবাদ। মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে।’
সরকারের দুঃশাসনে তরুণ প্রজন্ম আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেও জানান এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।