জাপানে প্রধানমন্ত্রী, লাল গালিচা সংবর্ধনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে আজ সন্ধ্যায় জাপান পৌঁছালে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমন্ত্রণে এখানে অনুষ্ঠেয় শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন জি৭-এর আউটরিচ বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে জাপান পৌঁছান।
আজ থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী জি৭ সম্মেলনের অংশ হিসেবে আউটরিচ বৈঠকটি মধ্য জাপানের মনোরম দ্বীপ ইশেশিমায় আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট জাপানের স্থানীয় সময় ৭টা ৫ মিনিটে নাগোয়ার চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সেখানে জাপানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে হোটেল হিল্টন নাগোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন।
এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া অ্যাডভাইজার ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিমা কানকো হোটেলে জি৭ সম্মেলনের আউটরিচ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া, জি৭ আউটরিচ লিডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেবেন এবং সেখানেও বক্তৃতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী একইদিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মিরথিপালা শ্রীসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গেও এ দিন তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিওর উদ্দেশে ট্রেনে নাগোয়া ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি টোকিওতে নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সংগঠন এফবিসিসিআই এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সংগঠন জেটরোর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের হেনাদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে বিমানের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন। ঢাকার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলংকা এবং সাদকে জি৭ আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শিল্পোন্নত জি৭ গ্রুপের সদস্যরা হচ্ছে-কানাডা,ফ্রান্স,জার্মানি,ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রতিনিধিত্ব করে।