জামিন পেলেও মুক্তি পাননি রাজশাহী সিটির মেয়র বুলবুল
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সব মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি পাননি।
আদালতের এ সংক্রান্ত আদেশের নথি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এরপরও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের এক চিঠির বরাত দিয়ে তাঁকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নামে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যাসহ নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগসহ সব মিলিয়ে ১৯টি মামলা রয়েছে। এ সব মামলার মধ্যে ১০টিতে আগেই নিম্ন আদালত থেকে জামিনে ছিলেন মেয়র বুলবুল। গত ১৩ মার্চ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের পর আরো সাতটি মামলায় তিনি বিচারিক আদালত থেকে পর্যায়ক্রমে জামিন পান। সব শেষ গত মঙ্গলবার উচ্চ আদালত থেকে অবশিষ্ট দুটি মামলায়ও জামিন পান তিনি। এ দুটি মামলা হলো সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বাসায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা এবং ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর আন্দোলনের সময় নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার নাশকতা সংক্রান্ত পুলিশের দায়ের করা মামলা। সর্বশেষ জামিন পাওয়া এ দুটি মামলার জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র উচ্চ আদালত থেকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে মেয়র বুলবুলের জামিন সংক্রান্ত নির্দেশনা আজ পৌনে ৪টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মেয়র বুলবুলের পরিবারের সদস্যরা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাঁর জামিনের অপেক্ষায় কারাগারের পাশে অবস্থান করলেও কারাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে মুক্তি দেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান বলেন, মেয়র বুলবুলের জামিনের কাগজ কারাগারে এসে পৌঁছেছে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে তাঁকে মুক্তি না দিতে বলা হয়েছে। এ কারণে বুলবুলকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আগামী রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০১৫ সালে ৭ মে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়দ পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চলতি বছর গত ১০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ তা নাকচ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।