রাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে হাতাহাতি, উত্তেজনা
হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এ নিয়ে সংগঠনের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি হলের ২১৪ নম্বর কক্ষের একটি সিটে এক শিক্ষার্থীকে তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম হিমু। বিষয়টি পছন্দ হয়নি ২১৬ নম্বর কক্ষে থাকা ছাত্রলীগের সমর্থক আসলাম হোসেনের। তিনি চেয়েছিলেন ওই সিটে নিজের পছন্দের একজনকে তুলতে। এরই জের ধরে হিমুর পছন্দের শিক্ষার্থীকে ওই সিট থেকে সরাতে বলেন আসলাম।
এ নিয়ে দুপুর ২টায় হিমুর কক্ষে (২০৬ নম্বর) দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসলামকে চড়-থাপ্পড় মারেন হিমু। এ সময় আসলামও হিমুকে মারতে চড়াও হন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আসলামের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি রানা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহম্মেদ কৌশিক ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহর নেতৃত্বে ৮-১০ নেতাকর্মী শেরেবাংলা হলে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা হিমুকে আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বলেন। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে হলে থাকা হিমুর পক্ষের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেল হলে প্রবেশ করা আসলামের পক্ষের নেতা-কর্মীদের বেরিয়ে যেতে বলেন। পরে আসলামের পক্ষের নেতাকর্মীরা বেরিয়ে যান।
এরও পরে খবর পেয়ে হিমুর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম রঞ্জুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন নেতাকর্মী হলে প্রবেশ করলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’