১২ ভাগ মানুষ জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, দেশের শতকরা প্রায় ১২ ভাগ মানুষ জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, শিল্প, ক্যাপটিভ ও সিএনজি খাতে ব্যাপক হারে গ্যাস ব্যবহৃত হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ লোকই পরোক্ষভাবে এ সুবিধা ভোগ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশে এ যাবত আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাস ফিল্ডে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৭ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে। ফলে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট নিট গ্যাস মজুদের পরিমাণ মাত্র ১৩ দশমিক ৬৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের সময় গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক এক হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক দুই হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা অধিকহারে বাড়তে থাকায় সরবরাহের তুলনায় ঘাটতি এখনো প্রায় দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মিটানোর জন্য ২০২১ সালের মধ্যে ৫৩টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ৩৫টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২০টি কূপের ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব কূপ থেকে আনুমানিক দৈনিক ৯৪৩ থেকে এক হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্য বিডারদের আকর্ষণ করার জন্য সমুদ্রাঞ্চলে ‘নন-এক্সক্লুসিভ মালটিক্লায়েন্ট টুডি সাইসমিক সার্ভে’ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘২০১৭ সালের শেষের দিকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমতুল্য এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া মহেশখালী ও পায়রা এলাকায় প্রতিটি দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ‘ল্যান্ড বেসড’ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প খাতে বিভিন্ন দ্রব্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।