মেট্রোরেল প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান
বহুল আলোচিত মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আজ রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত শুক্রবার এ দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি ১১টায় শুরু হয়ে সোয়া ১১টায় শেষ হয়।
ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন, যাত্রীদের স্বল্প সময়ে নিরাপদ পরিবহনের সুবিধার্থে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল প্রকল্পের অষ্টম ধাপের কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে শুক্রবার। অষ্টম ধাপে রোলিং স্টক, ডিপো ইকুইপমেন্ট এবং ডিপো রোলিং স্টক সংগ্রহ করা হবে। এর আওতায় যাত্রাবিরতিতে ট্রেন রাখার স্থান, মেট্রোরেল প্ল্যান্ট, ওয়ার্কশপ, অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার, ইলেকট্রিক্যাল ভবন, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মণ করা হবে। তিনি বলেন, সপ্তম ধাপের প্রাক-যোগ্যতা যাচাই শিগগিরই হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের লাইনটি উত্তরা থেকে শুরু করে পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ, খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাবে। এই জায়গার মধ্যে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার।
ওবায়দুল কাদের জানান, মেট্রোরেল প্রকল্পের আওতায় ট্রেনের সংখ্যা হবে ২৪ সেট। প্রতি সেটে ছয়টি করে বগি থাকবে। গতিসীমা হবে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার। প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিক থেকে মোট ৬০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করতে পারবে। ট্রেনটি সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জনমনে আতঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। রাজনীতি নিয়ে কথা যত কম বলা যাবে, ততই মঙ্গল হবে দেশ ও জাতির জন্য। রাজনীতি নিয়ে কথা আমি বলি। কিন্তু এখন বলতে চাই না।’