দুই বিদেশিকে হত্যা এক সুতোয় গাঁথা
ইতালীয় নাগরিক চেসারে তাভেলা ও জাপানি নাগরিক হোসি কমিও হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দেশে ইসলামিক স্টেট আইএসের কোনো সংগঠন নেই দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকরা এ দেশে আইএসের সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
রাজধানীর মগবাজারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে ঢাকা ও রংপুরে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ইতালীয় নাগরিক চেসারে তাভেলা ও জাপানি নাগরিক হোসি কমিও। বিদেশি এই নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছেন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে। রাজধানীর মগবাজারে নজরুল শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা দেখছি হত্যাকাণ্ড দুইটা একই রকম। একইভাবে তিনজন মোটর আরোহী আসছে, একইভাবে পিস্তল দিয়ে পেছন দিক থেকে গুলি করছে। এই ধরনের নিরীহ লোককে হত্যা করার উদ্দেশ্য হলো একটাই। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য একটা প্রয়াস। আপনারা জানেন, এসব কারণে অস্ট্রেলিয়া টিমও আসেনি। এসবই বোধহয় একই সুতোয় গাঁথা।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সাংগঠনিক কোনো ভিত্তি নেই বলে আবারও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরো জানান, বিচ্ছিন্নভাবে যারাই সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরই আইনের আওতায় আনছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বলেছি আইএসের এখানে কোনো অরগানাইজেশন (সংগঠন) নেই। দু-একজন অতি উৎসাহিত হয়ে মাঝে মাঝে এসে কাজ করার প্রয়াস নেয়। এই সমস্ত আইএসগুলো আমাদের বংশোদ্ভূত হতে পারে, তবে আমাদের নাগরিক নয়।’
এর আগে আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই থামানো যাবে না।