দুলাভাই ও প্রতিবেশীকে হত্যার অপরাধে শ্যালকের ফাঁসি
গাজীপুরের টঙ্গীতে টাকা চেয়ে না পেয়ে দুলাভাই ও তাঁর প্রতিবেশীকে হত্যার ঘটনায় বদরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এর মধ্যে দুলাভাইকে খুনের অপরাধে ফাঁসি ও তাঁর প্রতিবেশীকে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে আসামি বদরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গাজীপুরের টঙ্গীর আরিচপুর বউবাজারে পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন ইসমাইল ও বেলাল। ২০১০ সালের ১৫ জুন বদরুল দুলাভাই ইসমাইলের কাছে টাকা চায়। কিন্তু ইসমাইল টাকা দিতে না পারলে ওই দিন বিকেলে বদরুল তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ সময় ইসমাইলের মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশী বেলাল এগিয়ে গেলে আসামি বদরুল তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে ঘটনাস্থলেই বেলাল মারা যান। এ ঘটনায় বেলালের ভাই মো. ফজলু বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বদরুল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার রৌহা গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার পরদিন ১৬ জুন পুলিশ আসামি বদরুলকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রাজিউর রহমান এ ঘটনায় বদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে ২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ১৩ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির মামলার রায়ে আসামি ন্যায়বিচার পায়নি বলে দাবি করে আপিলের কথা জানান।
অন্যদিকে সরকারপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।