ঘন ঘন কালবৈশাখীতে আতঙ্ক, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বৈশাখে কালবৈশাখীর ঘটনা নতুন নয়। তবে গত কয়েকদিনে ঘন ঘন কাল বৈশাখী, শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতে জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আর শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিশেষজ্ঞদের কাছেও এমন কালবৈশাখী কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। অস্বাভাবিক মাত্রার এই কালবৈশাখী নিয়ে পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমানের সঙ্গে এনটিভি অনলাইনের কথা হয়।
ড. আতিক রহমান বলেন, ‘সংসদ ভবনের সামনে বহু গাছ পড়ে গেছে। এই গাছগুলোর ৩০ বছরের বেশি, ৪০ বছরের বেশি বয়স। ৪০ বছরে পড়েনি। তার মানে এমন একটা দমকা হাওয়া এসেছে, যা ৪০ বছরে এত শক্ত দমকা হাওয়া আসেনি। যে তীব্রতা দেখা যাচ্ছে, তা একটি অস্বাভাবিক বলা যায়। প্রচণ্ড বড় বড় শিলা পড়েছে। বিশেষ করে উত্তর বাংলাদেশে। সেখানে আমের ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এখন ব্যাপারটা হচ্ছে, গোলাটা পড়তে পড়তে গলতে গলতে একটা মার্বেলের সমান হয়ে যায়। সাধারণত আমরা যেটাকে শিলাবৃষ্টি বলি। কিন্তু সেটা যদি গলার সুযোগ না পায়। অর্থাৎ,পানির পরিমাণ প্রচুর কিন্তু পড়নের মধ্যে পুরো গলতে পারল না, তখন এটা ক্রিকেট বলের সমান হয়ে যায়।’
কালবৈশাখীর ব্যাপারে খুব আগে থেকে ধারণা দেওয়া যায় না। তবে আগামী কয়েকদিনের কালবৈশাখী খুব সহজে পিছু ছাড়ছে না বলেও ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদেরা।
ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি ঝড়ো বাতাস, বজ্রপাত শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী হওয়ার সম্ভাবনা আছে এ মাসের শেষের দিকে আবার। আবার সংখ্যাটা একটু বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
এ বছর আরো এক আতঙ্কের নাম হলো শিলাবৃষ্টি। বেশ কয়েকদিন ধরে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের মাঠসহ ফলের বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে শিলার আঘাত এতটাই তীব্র ছিলো যে, ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে এর তীব্রতা অনেক বেশি ছিল।
শুধু তাই নয়, শিলাবৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বজ্রপাতের পরিমাণও। বজ্রপাতে বেড়েছে নিহতের সংখ্যাও। বিশেষজ্ঞরা জানান, আগে সবচেয়ে উঁচু স্থান হিসেবে ফসলের মাঠে তাল গাছ বজ্রপাত ঠেকাতে পারত। কিন্তু এখন তাল গাছ কমে যাওয়ায় বজ্রপাত সরাসরি আছড়ে পড়ছে কৃষকের ওপর। তাই কৃষকের মৃত্যুর পরিমাণও বাড়ছে।