দুর্নীতি অস্বীকার করার কিছু নাই : দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্নীতি আছে এটা অস্বীকার করার কিছু নাই। অস্বীকার করলে আমরা এক হতে পারব না।’
আজ রোববার দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দুদক নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তার জন্যই এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
দুর্নীতি সূচকে এগিয়ে যাওয়াটা বাংলাদেশের ধীর গতিতে হচ্ছে টিআইবি এমন মন্তব্যে সহমত পোষণ করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘গত বছরও দুই ধাপ এগিয়েছিলাম এবং এ বছরও আমরা দুই ধাপ এগিয়েছি। তবে তারা যেটা বলেছে এটা সত্য যে, আমাদের এগিয়ে যাওয়াটা একটু স্লো। একটু না বেশ স্লো। আমাদের বেশি হয়তো আগানো সম্ভব। সম্ভব বলছি এ কারণে যে, সবার সম্মিলিত প্রয়াস যদি পাওয়া যায় তাহলে বোধহয় সম্ভব।’
বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার এবং বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়েও এ সময় কথা বলেন ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের টাকা কোথায় গেছে এটা আগে বের করেন। উই নিড টু আন্ডারস্ট্যান্ড (আমাদের জানতে হবে) যে, টাকাটা যে কোথায় গেছে? টাকাটার পরিণতি কোথায়? টাকাটা কোথায় অ্যাংকর (জমা) হয়েছে? সেটা আপনি যদি আমাকে ১০০ বারও প্রশ্ন করেন আমি ওইটা না হওয়া পর্যন্ত আমি কোর্টে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) বা কোর্টে কোনো রিপোর্টই দেব না। ইটস নট পসিবল (এটা সম্ভব না)। আমাকে বলতে হবে, এই টাকা বঙ্গোপসাগরে গেছে, এই টাকা আপনি নিয়েছেন বা এই টাকা কেউ নিয়েছে। সো ইউ হ্যাভ টু আন্ডারস্যান্ড (সুতরাং আপনাকে বুঝতে হবে) যে, ইনভেস্টিগেশনের (অনুসন্ধান) একটা পর্যায় থাকে বা ইনভেস্টিগেশনের একটা টাইম লিমিট (সময়সীমা) থাকে আমি জানি, জানব না কেন?’
মালেয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে- এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। আর ব্যবসায়ীসহ অন্য কেউ এই অর্থ পাচার করলে তা দেখার দায়িত্ব দুদকের নয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানায়, দুর্নীতির অবস্থান নির্ধারণ সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থানের দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। তবে দুর্নীতি কমলেও তা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয় রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, অর্থ পাচার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ঘাটতি।
দুর্নীতির সূচকে অনুযায়ী গত বছর বাংলাদেশ শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ১৫তম অবস্থানে ছিল। এবার দুই ধাপ এগিয়ে হয় ১৭তম।