খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন সাংবাদিক নেতারা
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের একাংশের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে সাংবাদিক নেতারা এই দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে বক্তারা বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র ধ্বংসের পথে, স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ।
অনুষ্ঠানে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার আইন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করছে। অবিলম্বে এসব কালো আইন বাতিল করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কাউন্সিলে বিএফইউজের অঙ্গ ইউনিয়নগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। রোববার সংগঠনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দীন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সাজা ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। রায়ে আসামি তারেক রহমান, শরফুদ্দীন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।