ছুটির দিনে সড়কে ঝরল ৯ প্রাণ
ছুটির দিনে তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নয়জন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে চারজন, নাটোরে তিনজন ও ফেনীতে দুজন নিহত হয়েছেন।
ময়মনসিংহ থেকে প্রতিনিধি আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩০ জন।
উপজেলার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের জয়পুর এলাকার ভূঁইয়া ফিলিং স্টেশনের কাছে বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে।
তাঁরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জে ঘাগড়াপাড়া গ্রামের রতন মিয়া (২৮), নান্দাইল উপজেলার হাবিব মিয়া (৩৫), জামালপুর জেলার হাসিনা খাতুন (৭৫)।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো একজন মারা যান।
ফেনী থেকে প্রতিনিধি ওছমান হারুন মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফেনীর মহুরীগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহুরীগঞ্জের ছনুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামগামী ট্রাকটি পেছন থেকে ধাক্কা দিলে পিকআপের চালকসহ চারজন আহত হন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
নাটোর থেকে প্রতিনিধি হালিম খান জানান, জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা এলাকায় বাসচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার যোগেন্দ্রনগর গ্রামের ইয়াকুব আলী প্রামাণিকের ছেলে রাকিব প্রামাণিক (১৭), একই গ্রামের আবদুল মালেক সোনারের ছেলে আবদুল হাসিম সোনার (১৩) এবং উপজেলার মাশিন্দা গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ (১৭)।
বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম শামসুন নূর জানান, ময়মনসিংহ থেকে যশোরগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিন আরোহীসহ মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আরোহীরা।
এদিকে মোটরসাইকেলের আঘাতে বাসের গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায় এবং পরে তা বাসে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।