খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনলাইনে গণস্বাক্ষর শুরু
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনলাইনে চলছে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবীতে সারা দেশব্যাপী চলবে এ কর্মসূচি। বিএনপির মহাসচিব জানান অনলাইনে http://www.bnpbangladesh.com/free-khaleda-zia/এই লিংকে গিয়ে স্বাক্ষর করা যাবে।
এ ছাড়া বিএনপির ‘অফিসিয়াল’ ওয়েবসাইট bnpBangladesh.com এ ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত কর’ নামে নতুন সেকশন যোগ করা হয়েছে। সেখানে ‘আমি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ এবং #freeKhaledaZia #freeBKZ #PeacefulProtestBD এই তিনটি হ্যাশট্যাগ ও খালেদা জিয়ার একটি ছবি দিয়ে ব্যানার ইমেজ দেওয়া আছে। এরপর নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাক্ষরের পর লেখা দেখাচ্ছে ‘আমি অনতিবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’
সকালে নয়াপল্টনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির তৃতীয় দফার এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্যহারা না হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারর হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এরপর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে রাখা হয়েছে। রায়ের অনুলিপি পেলে জামিনের আবেদন করা হবে বলে তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন।