ট্রেন চলল না ভালোবাসা দিবসেও, অনিশ্চয়তায় পাবনাবাসী
পাবনা-রাজশাহী এবং পাবনা-ঈশ্বরদী রুটে ট্রেন চলাচল চালুর কথা আজ বুধবার থেকে। তবে ভালোবাসা দিবসেও রেলওয়ের ভালোবাসা পেল না পাবনার মানুষ। নির্ধারিত সময়ে চালু হয়নি ট্রেন চলাচল।
কবে নাগাদ চালু হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। ফলে পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এক ধরনের হাতাশা বিরাজ করছে সবার মধ্যে।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ চিহ্নিত। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে থাকলেও কবে নাগাদ পাবনা-রাজশাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। লোকবল সংকট, ইঞ্জিন সংকট, শিডিউল তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে জনবল সংকটের কারণে এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত বছরের জুন মাস নাগাদ এই রেলপথের, ঈশ্বরদী (মাঝগ্রাম)-পাবনা এবং পাবনা-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সুবক্তগীণ জানান, এরইমধ্যে পাবনা পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। উদ্বোধন করা হতে পারে যেকোনো সময়। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাতে পারেননি তিনি। তিনি আরো জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও নানা কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব শিগগির পাবনা থেকে ট্রেন চলবে।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। সেদিন জানানো হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাবনা-রাজশাহী রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। ওইদিন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী আসাদুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,২০১৮ সালের জানুয়ারিতেই রাজশাহী-পাবনা রুটে রেল চলাচল করবে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি । বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগ, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাবনা-ঈশ্বরদী এবং পাবনা-রাজশাহী পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের সময়সূচি ঘোষণা করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেলরুটের মধ্যে ২৫ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫৩ কিলোমিটারের নির্মাণ দ্বিতীয় ধাপে শেষ হবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৯১৪ সালে পদ্মা নদীর উপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হলে, ওই সময়ই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত লিংক রেলরুটের দাবি ওঠে। ব্রিটিশরা এ দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে বাস্তবায়িত হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সরকার ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। সে সময় জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।